ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের জন্য পৃথক অ্যাম্বুলেন্স নেই

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য পৃথক কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। করোনা ও সাধারণ রোগীসহ ওষুধ বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে একই অ্যাম্বুলেন্স। এতে সাধারণ রোগীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নূর রিফাত আরা বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ ও রোগী বহনের জন্য উপজেলা করোনা কমিটির স্থানীয়ভাবে অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা। কিন্তু বারবার তাগিদ দেওয়ার পরেও উপজেলা করোনা কমিটির পক্ষ থেকে তা করা হচ্ছে না।

তবে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল হক বলেন, করোনা রোগীদের জন্য করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। সরকারি নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা করা হবে। নির্দেশনা ছাড়া এই কমিটির পক্ষে কোনো অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে দেওয়া সম্ভব নয়।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের জন্য হাসপাতালটিতে পুরোনো একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সে রোগী বহনের পাশপাশি হাসপাতালের ওষুধ বহন করা হয়। করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর করোনা রোগীদের জন্য ওই অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছে। তবে নমুনা সংগ্রহের জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত মার্চ মাসের শেষের দিকে উপজেলার পৃথক দুই এলাকায় দুই ব্যক্তি জ্বর, কাশি ও সর্দির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। করোনাভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহে তাঁদের ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য উপজেলা করোনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের ঢাকায় নেওয়া হয়। ওই অ্যাম্বুলেন্সটি জীবাণুমুক্ত করতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা তা আর ব্যবহার করা যায়নি।

ধামরাই পৌরসভার মেয়র গোলাম কবীর বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সাধারণ রোগীদের আনা-নেওয়া করায় সাধারণ রোগীরা করোনার ঝুঁকিতে পড়ছেন।