ফরিদপুরে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অবশেষে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ল্যাবরেটরিতে শুরু হলো করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা। প্রথম দিনে ৫৭টি নমুনা পাওয়া গেছে।

কলেজের চতুর্থ তলায় করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম চালু হয়।

এ সময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খবিরুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান, বিএমএ ফরিদপুরের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দিনে ৫৭টি নমুনা পাওয়া গেছে। এ মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা টেস্ট করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা দিয়ে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে। পরে আশপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কিট এসেছে।

ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল কাদের। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সাতজন টেকনিশিয়ান এখানে কাজ করবেন।

রেজাউল কাদের জানান, এই ল্যাবরেটরিতে কর্মরতদের জন্য এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই পাওয়া গেছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া যন্ত্রপাতি ও নমুনার বর্জ্য জীবাণুমুক্ত করার জন্য যেই অটোক্লেব মেশিন দরকার, সেটিও প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। তাদের আরও অন্তত ৩০০ এন-৯৫ মাস্ক এবং আরেকটি অটোক্লেব মেশিনের (স্বয়ংক্রিয় জীবাণুমুক্ত) দরকার। এ জন্য ঢাকার সিএমএসডিতে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপার্টমেন্ট) তাদের লোক পাঠানো হয়েছে।