ভারত থেকে ফেরা বগুড়াবাসীর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের পুরাতন ভবনে ২৫০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত হচ্ছে।

ইতিমধ্যে কলেজের পুরাতন ভবনের উচ্চমাধ্যমিক শাখার ১৬ কক্ষ থেকে আসবাব সরিয়ে সেখানে বিছানা বসানোর কাজ চলছে। সেনাবাহিনী এ কাজ তত্ত্বাবধান করছে।
ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা ব‍্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চিকিৎসক দলকে। প্রাতিষ্ঠানিক এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ আজ সোমবার প্রথম আলোর কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাঁদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে জেলা প্রশাসনকে ৩০০ শয্যার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে ফেরত বগুড়া জেলার বাসিন্দাদের জন্য আপাতত সরকারি আজিজুল হক কলেজে ২৫০ শয্যার কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে শয্যা বাড়ানো হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন থেকে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফেরত আনার কার্যক্রম শুরু হবে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ভবনের ইনচার্জ ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের পুরাতন ভবনের নতুন বিল্ডিংয়ের ১০টিসহ মোট ১৬টি কক্ষে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শয্যা বসানোর মাধ্যমে কোয়ারেন্টিন সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আবাসনব‍্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কলেজ হোস্টেল ক্যানটিনে খাবারের ব‍্যবস্থা করা হয়েছে।
কোয়ারেন্টিন সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় শয্যা সরবরাহ করছে বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস।

বগুড়ার সিভিল সার্জন গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের যেদিন থেকে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু হবে, সেদিন থেকেই কোয়ারেন্টিন সেন্টারও চালু হবে। কোয়ারেন্টিন সেন্টারটি তদারকি ছাড়াও সার্বিক নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টি সেনাবাহিনী দেখভাল করবে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। কাউকে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিক আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।