দিনাজপুরে ১৯২০ কেজি চাল ও ২৪০০ কেজি আটা জব্দ

দিনাজপুর সদর উপজেলায় শেখপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের গুদাম থেকে ওএমএসের ৬৪ বস্তা চাল ও ৪৮ বস্তা আটা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে দিনাজপুরের গাবুড়া বাজারসংলগ্ন ওই চেয়ারম্যানের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা–পুলিশের একটি দল।
মোমিনুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও।

অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার শাহরিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকার, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন, গোয়েন্দা শাখার ওসি এ টি এম গোলাম রসুল, কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রশিদ প্রমুখ।

অভিযান শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলামের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৩০ কেজি ওজনের ৬৪ বস্তা চাল (১ হাজার ৯২০ কেজি) এবং ৫০ কেজি ওজনের ৪৮ বস্তা আটা (২ হাজার ৪০০ কেজি) জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক চেয়ারম্যান জানান, তাঁর গুদামঘরে চারজন ডিলারের ওএমএসের চাল ও আটা রয়েছে। সরকার কয়েক দিন আগে ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ায় ওই চারজন ডিলার তাঁদের পণ্য চেয়ারম্যানের গুদামে রেখেছেন।

জানা যায়, আটক চেয়ারম্যানের নামে কোনো ডিলারশিপ নেই। পৃথক চার ব্যক্তির নামে ডিলারশিপ থাকলেও তাঁরা কাগজে–কলমে। প্রকৃতপক্ষে আটক চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম নিজেই এই চারটি ডিলারশিপ পরিচালনা করেন।

এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় খাদ্য বিভাগের ডিলাররা চেয়ারম্যানের ওই গুদামঘরে চাল ও আটার বস্তাগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। বিষয়টি ডিলাররা আমাকে মুঠোফোনে অবহিত করে রেখেছেন। এখানে সামান্য ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।’
ওএমএসের চাল পৌর এলাকায় বিতরণের জন্য বরাদ্দ, কিন্তু সেই চাল ইউপি চেয়ারম্যানের গুদামে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার স্বার্থে ডিলাররা পণ্যসামগ্রী সেখানে রেখেছেন।

দিনাজপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে হিসাবপত্র চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে চেয়ারম্যান দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।