গাজীপুরে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ-অবরোধ

গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় অমিতি সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ছবি: মাসুদ রানা
গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় অমিতি সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ছবি: মাসুদ রানা

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকায় আজ মঙ্গলবার মার্চ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় অমিতি সোয়েটার্স লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাকের কারখানা আছে। ওই কারখানার শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ১২ এপ্রিল পরিশোধ করার কথা ছিল। ওই দিন শ্রমিকেরা কারখানায় গিয়ে দেখেন, কোনো কর্মকর্তা অফিসে আসেননি। কারখানা মূল ফটকে তালা ঝুলছে। এরপর আজ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কর্মকর্তা কারখানায় আসেননি। শ্রমিকদের বেতনও দেওয়া হবে না। পরে শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় বেতন পরিশোধের ব্যাপারে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। তবে শ্রমিকেরা বেলা দেড়টা পর্যন্ত কারখানার সামনে অবস্থান করেন। অবরোধের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সড়কের দুই দিকে মালবাহী ট্রাকের ও ব্যক্তিগত গাড়ির জট লেগে যায়।

অমিতি সোয়েটার্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস আর লকডাউন আমাদের কোনো কিছু আর মানছে না। ভাড়িওয়ালা ঘর ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। দোকন থেকে বাকি নেওয়া হয়েছে, তাঁরা টাকা চাইছেন। মরণ ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না। শ্রমিকদের কেউ সাহায্য–সহযোগিতা করছে না।’ মোস্তাফিজুর রহমান নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘১২ এপ্রিল বেতন দেওয়ার কথা ছিল। আজ পর্যন্ত বেতন হলো না। রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।’


গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক রেজ্জাকুল হায়দার বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুরের অধিকাংশ কারখানা ছুটি ঘোষণা করে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে ছুটি ঘোষণা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলার বেশ কিছু কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানার শ্রমিকেরা কয়েক দিন ধরেই বেতনসহ তাঁদের পাওনার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।