হবিগঞ্জে চিকিৎসক-নার্সসহ ১০ করোনা রোগী শনাক্ত

হবিগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় ১০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন করে চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন। এর আগে গত ১১ এপ্রিল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১ জনে দাঁড়াল।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত হবিগঞ্জের ৮০ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় তাঁদের মধ্যে ১০ জনের করোনা 'পজিটিভি' আসে । আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুজন নারী। লাখাই ও বানিয়াচং উপজেলার ৩ জন করে; আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ জন এবং চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলার ১ জন করে ।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ থেকে ৩২ বছর বয়সী ৭ জন। বাকি তিনজনের বয়স ৪৫, ৫৫ এবং ৬৪ বছর। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরতের সংখ্যাই বেশি। আগের রোগীসহ নতুন ৮ জন হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। এর বাইরে আক্রান্ত চিকিৎসক ও নার্স নিজেদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছেন।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আক্রান্ত আটজন আগে থেকেই হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। এখন তাঁরা আইসোলেশনে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর আক্রান্ত চিকিৎসক ও নার্স তাঁদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স আক্রান্ত হওয়ায় লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কার্যক্রম মঙ্গলবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লাখাইয়ের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আক্রান্ত চিকিৎসক ও নার্স হাসপাতালের ভেতরেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সাময়িকভাবে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

রোববার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের চার জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮ জন। তবে সোমবার সংখ্যাটা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। বর্তমানে পুরো বিভাগে সব মিলিয়ে করোনা শনাক্ত ব্যক্তি ১৬ জন। এর মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজারে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।