গফরগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক নার্স আক্রান্ত

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

তিনজন চিকিৎসক, দুজন নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আরও এক নার্স ও তাঁর স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এ নিয়ে গফরগাঁও উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০ জনসহ মোট ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর ময়মনসিংহে মোট ৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এ ছাড়া গতকাল ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক কিশোরের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছিল বলে জানায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ত্রিশালে এটাই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত। কিশোরের করোনাভাইরাস সংক্রমের বিষয়টি জানার পর ওই গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে সীমিত আকারে জরুরি সেবা দেওয়া ছাড়া সব বিভাগ বন্ধ রয়েছে। গত রাতে আক্রান্ত নার্স ও তাঁর স্বামী গফরগাঁও উপজেলা সদরের বাসিন্দা। তাঁরা আক্রান্ত হওয়ার পর আরও ২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা যায়, ৭ এপ্রিল গফরগাঁও উপজেলা সদরের একজন নারী জ্বর-সর্দি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান। ওই নারীকে করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে তিনি আক্রান্ত বলে জানা যায়। এরপর জানা যায়, ওই নারী চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মোট নয়টি কক্ষে যান। তবে ওই নারীর পরিবার ও প্রতিবেশী ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কেউ আক্রান্ত নন।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আক্রান্তের পর এখনো ১৪ দিন পার হয়নি। এখনো কেউ সুস্থ হয়ে ওঠেননি।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও ছাড়াও হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক, নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন নার্স, মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন গাড়িচালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।