বেতনের দাবিতে ফরিদপুর চিনিকলে বিক্ষোভ

বেতন ভাতা ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ করেছেন ফরিদপুর চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেছেন, তিন মাসের বেতন-ভাতা না পাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সবাই।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে মধুখালী উপজেলা সদরে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকলের প্র্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে দাঁড়িয়ে যান চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তারা। বিক্ষোভ চলাকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সভাপতি শাহ মো. হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু, সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সাবেক শ্রমিক নেতা আবুল বাশার বাদশা, শাহিন মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, চিনি শিল্পের সঙ্গে জড়িত দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। অথচ, আখচাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী,কর্মকর্তাসহ সবাই এখন হতাশায় ভুগছেন। সময়মতো আখচাষিদের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে না। চিনিকলে কর্মরত ব্যক্তিদের সময়মতো বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। সময়মতো চিনি বাজার ধরে রাখা হচ্ছে না। এসব কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের আওতায় থাকা দেশের ১৫টি চিনিকলের একই দশা।

বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটার কারণে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল নেই। ওদিকে চিকিকলে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন বন্ধ হয়ে আছে। দোকান থেকে বাকিতে নিত্যপণ্য কিনে তাঁরা মোটা অংকের দেনায় পড়েছেন। এখন আর কেউ পণ্য বাকিতে দিতে চাইছেন না। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যও কিনতে পারছেন না তাঁরা। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

আন্দোলনকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুর চিনিকলে কর্মরত প্রায় ৮০০ ব্যক্তি ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও চলতি এপ্রিল মাসের বেতন পাননি। তাঁরা মঙ্গলবার বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে যান। চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।

মধুখালীর ইউএনও মো. মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ফরিদপুর চিনিকলের শ্রমজীবী ইউনিয়নের স্মারকলিপিটি তিনি গ্রহণ করেছেন। সেটি মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে বরাবার পাঠানো হয়েছে।