কিশোরকে হত্যা, দুলাভাই আটক

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

কুষ্টিয়ায় একটি চালকল থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বটতৈল দোস্তপাড়ায় আবদুল মজিদের সনি রাইস মিল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই কিশোরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত কিশোরের নাম পিয়াস (১২)। সে দোস্তপাড়া এলাকার সুলতান শেখের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা পিয়াসের ভগ্নিপতি শাকিলকে (২২) পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সনি রাইস মিলের ভ্যানচালক ছিদ্দিক, মনজের ও নাজমুলকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিয়াসের ভগ্নিপতি শাকিল ওই চালকলের গুঁড়ার গুদামে কাজ করেন। পারিবারিক কলহের জেরে পিয়াসকে কৌশলে গুদামে ডেকে শাকিলসহ ২–৩ জন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গুঁড়ার বস্তার নিচে চাপা দিয়ে রাখেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে শাকিলকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশের খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

পিয়াসের বাবা সুলতান শেখ বলেন, দোস্তপাড়ার পাশে খাজানগর গ্রামের বাহাদুরের ছেলে শাকিলের সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুর্বণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে মারধর ও নির্যাতন করতেন শাকিল। দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে বিচার–সালিস করে সুবর্ণাকে ওই বাড়িতে পাঠানো হয়। ১৫ দিন আগে সুর্বণাকে শাকিল মারধর করলে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে শাকিল নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

পিয়াসের এক বন্ধু বলে, সে ও পিয়াস খেলা করছিল। এ সময় পিয়াসের দুলাভাই পিয়াসকে ডেকে গুদামে নিয়ে যান। এরপর আর দেখা হয়নি। সনি রাইস মিলের মালিক আবদুল মজিদ বলেন, তিন বছর ধরে শাকিল ও নুর ইসলাম তাঁর মিলে মিস্ত্রির কাজ করেন।

গতকাল রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, পিয়াস হত্যায় অভিযুক্ত মূল হোতা শাকিলকে আটক করা হয়েছে।