টাঙ্গাইলে করোনামুক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি সোহাগ, প্রথম মৃত্যু মহিউদ্দিনের

টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ভূঞাপুর উপজেলার খন্দকার সোহাগ। আর এই ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুবরণ করেছেন ঘাটাইলের মহিউদ্দিন।

সুস্থ্য হওয়ার পর ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতাল থেকে বুধবার বাড়িতে ফিরেছেন সোহাগ (২২)। আর মহিউদ্দিন (২৪) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেন। লাশ বুধবার ঢাকাতেই দাফন করা হয়েছে।

ভূঞাপুরে গোবিন্দাসি ইউনিয়নে জিগতলা গ্রামের খন্দকার সোহাগ ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার পর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠানো হয়। পরীক্ষার পর ১২ এপ্রিল রাতে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে আবার পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, তিনি করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ নাছরিন পারভীন খন্দকার সোহাগের সুস্থ্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। এরপর তিনি এলাকায় ফিরেছেন।

খন্দকার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সোহাগের বাড়ির অন্য সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাঁদের সবার পরীক্ষার ফল 'নেগেটিভ' এসে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

ওদিকে ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউরি গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মহিউদ্দিন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ এপ্রিল থেকে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঘাটাইলের ইউএনও অঞ্জন কুমার সরকার জানান, মহিউদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বড় ভাই আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, বুধবার মহিউদ্দিনকে ঢাকাতেই দাফন করা হয়েছে।

মহিউদ্দিন আগে থেকেই কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত ছিলেন। ৪ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। নমুনা পরীক্ষার পর তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। মহিউদ্দিন করটিয়া সরকারি সা'দত কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।