মাদারীপুরে নকল পিপিই বিক্রি, ৩ জনকে জরিমানা

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সামনে গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে পিকআপভ্যান থামিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল সুরক্ষা পোশাক, সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস। তবে এগুলোর সবই নকল। নকল এসব ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি জব্দ করা হয়েছে নকল সব সামগ্রী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফরিদপুর থেকে একটি পিকআপভ্যান গতকাল সন্ধ্যায় মাদারীপুরে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার পর ওই পিকআপভ্যানটি সদর হাসপাতালের সামনে থামানো হয়। সেখানে থাকা লোকজন কম দামে নকল পিপিই বিক্রি করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সেখানে অভিযান চালান।

অভিযানে ফরিদপুর সদর উপজেলার ফয়সাল মোল্লা (৩০), একই এলাকার জনি (২৮) ও রাসেল মাতুব্বরকে (২৮) আটক করা হয়। এ সময় ৪৫০টি নকল সুরক্ষা পোশাক, সহস্রাধিক নকল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও বিক্রির কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের তিনজনেক ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে প্রত্যেককে তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ার হোসেন।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মো. খলিলুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয় এমন কোনো উপকরণ খোলা বাজারে বিক্রি করা আইনগত দণ্ডণীয় অপরাধ। ওই তিন যুবক ফরিদপুর থেকে এসে মাদারীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারের খোলা স্থানে নকল সব উপকরণ বিক্রি করেন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তিন যুবককে আটক করে। তাঁরা এসব জিনিস বিক্রির জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আনোয়ার হোসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে ওই তিন যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত উপকরণগুলোর ব্যাপারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধান্ত নেবেন।