মানিকগঞ্জে দুই চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত

মানিকগঞ্জে দুজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী মোল্লাহ ওই দুজনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্ত দুজন হলেন কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক ও সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা। তাঁরা বর্তমানে ঢাকায় নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন। তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রক্রিয়া চলছে।

কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, ৮ এপ্রিল কলেজের ওই চিকিৎসক সর্বশেষ কর্মস্থলে আসেন। পরের দিন তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তিনি সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন। গতকাল বুধবার পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বলেন, ওই চিকিৎসকের বাবার মৃত্যুতে স্বজনেরা একত্রিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে তাঁর এক ভাই চিকিৎসক। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইয়ের সংস্পর্শে এসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।

সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী মোল্লাহ জানান, ১৬ এপ্রিল ওই চিকিৎসা কর্মকর্তা সর্বশেষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। এরপর থেকে তিনি সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে তিনি করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। গতকাল বুধবার তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।

সেকেন্দার আলী মোল্লাহ বলেন, ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা করা হচ্ছে। তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জ থেকে ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে কারও দেহে করোনারভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আক্রান্ত দুই চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা ঢাকায় হয়েছে বলে তাদের রিপোর্ট মানিকগঞ্জে নেই। তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ৩৭৭ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে সিঙ্গাইরে চারজন, সদরে তিনজন, শিবালয়ে দুজন এবং হরিরামপুরে একজন। ঘিওর, দৌলতপুর ও সাটুরিয়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।