চুয়াডাঙ্গায় এক দিনে নার্সসহ ছয়জনের করোনা শনাক্ত, সবাই উপসর্গহীন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় এক দিনে একজন নার্সসহ ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল। তবে নতুন শনাক্ত ছয়জনের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল না।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী। যাঁদের মধ্যে চারজনেরই বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে এবং দুজনের সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ও আলোকদিয়া ইউনিয়নে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাতে বাইরে চলাচল করতে না পারেন, সে জন্য তাঁদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির জানান, হাসপাতালের মেডিসিন (পুরুষ) ওয়ার্ডে ৬ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন একজন রোগী ভর্তি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ এপ্রিল আইইডিসিআর তাঁকে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করে। বিষয়টি জানার পর গতকাল বুধবার সদর হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডের সব চিকিৎসা উপকরণ পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং চিকিৎসক, নার্সসহ ২১ জনের নমুনা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফলাফলে ২০ জনের নেগেটিভ এলেও একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সের পজিটিভ আসে।

এদিকে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আবদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১৭৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর থেকে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী ১২৯ জনের মধ্যে ৮ জন পজিটিভ। বৃহস্পতিবার হাতে পাওয়া ফল অনুযায়ী ৩৯ জনের মধ্যে ৬ জন পজিটিভ ও ৩৩ জন নেগেটিভ।

জেলার সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার শনাক্ত ছয়জনের কারোরই সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা পাতলা পায়খানার মতো কোনো উপসর্গ নেই। আক্রান্তদের মধ্যে চারজনই ঢাকাফেরত। এ ছাড়া একজন খুলনাফেরত এবং অন্যজন সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স।

সিভিল সার্জন বলেন, আক্রান্তরা যে যেখানে আছেন, সেখানে সেই অবস্থায় থাকবেন। বাইরে চলাচল করতে বা অন্যের সংস্পর্শে যেতে পারবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করতে ছয়জনের বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।