চৌগাছা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা

যশোরের চৌগাছা উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলায় দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তের একদিন পর এই সিদ্ধান্ত এল। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে চৌগাছাকে লকডাউন ঘোষণা করে।

এর আগে বুধবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনম সেন্টারে চৌগাছার এক নারী (৩৭) ও এক স্কুলছাত্রের (১৩) করোনা শনাক্ত হয়। উপজেলায় করোনা শনাক্তের এটাই প্রথম ঘটনা।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চৌগাছায় দুজনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন 'পজিটিভ' এসেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউন থাকবে। বাইরের কোনো ব্যক্তি উপজেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না এবং উপজেলার কোনো ব্যক্তি বাইরে বের হতে পারবেন না। চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট বিষয় বাদে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও জরুরি পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালে চৌগাছায় সকল প্রকার সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। মুদিখানা, কাঁচাবাজার ও খাবারের দোকান সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এবং শুধুমাত্র ওষুধের দোকান সারা দিন খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন উজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার, চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিফাত খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন ও উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানেরা।
ইউএনও জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুজন করোনা 'পজিটিভ' ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর চৌগাছাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।