সেনাবাহিনীর স্টিকার লাগিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি

মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাসে বড় স্টিকারে লেখা ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজে নিয়োজিত, জরুরি খাদ্য সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত’। গাড়ির ভেতরে দেশীয় অস্ত্রসহ বসা চার ডাকাত সদস্য। করোনা পরিস্থিতিতে এমনই অভিনব কায়দায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে একটি মাইক্রোবাসসহ ওই চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বজলুর রশিদ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের বড়ইল মিরাজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই ডাকাত সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপসহকারী পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন, কনস্টেবল হৃদয় খান, সুজন রায়, মো. হারুন আহত হয়েছেন।

গ্রেপ্তার ডাকাতেরা হলেন বড়ইল গ্রামের মো. আবু মুসা (২৫), বিহারীপাড়ার মো. মাহবুব আলী শেখ (৩৮), একই এলাকার রাশেদ শেখ (৩৮) ও মো. রাকিব হোসেন (২৪)।

পুলিশ সিলভার রংয়ের কেডিএস মাইক্রোবাসসহ (ঢাকা-মেট্রো-চ-১৩-৪৮৪৭) দুটি হাঁসুয়া, একটি স্টিলের চাকু, দুটি লোহার পাইপ, চারটি মুঠোফোন সেট উদ্ধার করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ডাকাতেরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

ঠিক সেই সময় মাইক্রোবাস ভাড়া করে গাড়িতে সেনাবাহিনীর স্টিকার যুক্ত করে দিয়ে ফাঁকা রাস্তায় ওত পেতে থেকে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতি করার প্রস্তুতির সময় এই চক্রটিকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আজ পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাত সদস্যদের প্রত্যেকের নামে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।