লোহাগড়ায় উপসর্গ ছাড়াই আরেক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরেক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনি বহির্বিভাগের রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করতেন। এ অবস্থায় আজ শনিবার সিভিল সার্জনের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বৈঠক করে বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুর রহমান আজ দুপুরে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২২ এপ্রিল ওই হাসপাতালের  ৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই দিনই হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সেখান থেকে ১০ জনের তথ্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জরুরি বিভাগ চালু আছে। রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন রোগীর চিকিৎসায় ফ্লু কর্নার ও আইসোলেশন ইউনিট চালু আছে।

নড়াইলের সিভিল সার্জন আবদুল মোমেন বলেন, নড়াইলে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া সাতজনই লোহাগড়া উপজেলার। এর মধ্যে ছয়জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। একজন লোহাগড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে এসে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় তাঁর পজেটিভ আসে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো উপসর্গ ছিল না। অন্য জেলায়ও উপসর্গ ছাড়া করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে।