এ মাসে কালবৈশাখীসহ থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হবে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এপ্রিল মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ সারা দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপর প্রকৃতির রূপ বদলে যায়। কালবৈশাখীসহ হালকা বৃষ্টিও হয়েছে সারা দেশে। তবে কয়েক দিন ধরে কালবৈশাখীর সঙ্গে বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ মাসের বাকি পাঁচ দিনও এমনই আচরণ করবে প্রকৃতি।

এর কারণ সম্পর্কে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে বেশ গরম পড়েছিল। সেখানে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কাছাকাছি ছিল। এ সময় থেকে এখন পর্যন্ত বাতাসে বা বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরে প্রচুর জলীয় বাষ্পের জোগান আসছে সাগর থেকে। অন্যদিকে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে তাপীয় লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প তাপীয় লঘুচাপের কারণে ওপরে উঠে যাচ্ছে। সেখান থেকে মেঘ সৃষ্টি হচ্ছে। এই মেঘ যখন দক্ষিণ বা পূর্ব দিকে আকারে বড় হয়ে এগিয়ে যায়, সে সময় বাতাস বয়ে যায়। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিও হয়। এখন এ ধরনের আবহাওয়া রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, এপ্রিলে শুরু থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। এখন সেই শূন্যতা পূরণ হচ্ছে। আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এভাবেই কালবৈশাখীসহ থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হবে। তবে এ মাসে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানার বা সৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা এই অঞ্চলে নেই বললেই চলে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোনো কোনো এলাকায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালী জেলার মাইজদী কোর্টে ৮৩ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় এ সময় বৃষ্টি হয়েছে ২০ মিলিমিটার।

এই বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। আজ সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল যশোর জেলায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় যা ছিল ৩০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।