বাড়ছে ত্রাণ নিয়ে ফোনের সংখ্যা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে বদলে গেছে মানুষের প্রয়োজনীয়তাও। রোগের চিকিৎসা কোথায় হয়, লক্ষণ দেখা দিলেই বা কী করতে হবে—এমন সব প্রশ্ন এখন মানুষের নিত্যদিনের। তাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ এসব প্রশ্নের উত্তরই এখন জানতে চাইছেন নাগরিকেরা। এ ছাড়া অনেকে ত্রাণের সন্ধানও করছেন এই নম্বরে ফোন দিয়ে।

গত ১৮ মার্চ থেকে করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া শুরু হয় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৮ দিনে এ–সংক্রান্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ৩৭৬টি ফোন এসেছে ৯৯৯-এ। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭৪০টি ফোন ছিল করোনা–সংক্রান্ত জরুরি সেবা চেয়ে। বাকি ২ লাখ ২০ হাজার ৬৩৬টি ফোন ছিল রোগ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে। এই সময়ের মধ্যে জরুরি সেবা ও তথ্য চেয়ে ৯৯৯-এ সর্বমোট ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪টি ফোন করা হয়েছে।

জরুরি সেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত পুলিশের পরিদর্শক এন এম অনিক প্রথম আলোকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অনেকেই তাঁদের কাছে ফোন করেন। স্থানীয় থানা, প্রশাসন বা ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাঁরা তখন অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। অনেকে আবার রোগ ও এর চিকিৎসা–সংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য জানতে চাইছেন ফোন করে। এই সংখ্যাই বেশি।

এদিকে ত্রাণ নিয়ে দেশব্যাপী নয়ছয় শুরু হওয়ার পর এ–সংক্রান্ত ফোনও ৯৯৯–এ করছেন নাগরিকেরা। কোথাও সরকারের বরাদ্দ দেওয়া চালের চেয়ে কম চাল দিলে ফোন করে অভিযোগ করছেন। আবার কোথাও ট্রাক থেকে চালের বস্তা কোনো বাড়িতে ঢোকানো হচ্ছে দেখলে তা ত্রাণ চুরি হতে পারে এমনটা ভেবেও জানানো হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ত্রাণের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েও ফোন দিচ্ছেন।

ত্রাণ নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ২১ এপ্রিল থেকে এ ধরনের ফোনের আলাদা হিসাব রাখা শুরু করেছেন জরুরি সেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। এরপর প্রথম চার দিনেই তাঁরা এ–সংক্রান্ত ৪ হাজার ১১১টি ফোন পেয়েছেন। এর মধ্যে ৯৯টি ত্রাণের দুর্নীতি নিয়ে, ৩ হাজার ৬২২টি ত্রাণ চেয়ে এবং ৩৯৪টি করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে।