জ্বর-শ্বাসকষ্টে ডিএনসিসির নিরাপত্তাপ্রহরীর মৃত্যু

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল–২–এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. মুরাদ হোসেন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। আজ রোববার সকালে ৬টার দিকে মারা গেছেন বলে তাঁর বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান।

মুরাদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। সেখানে মুরাদ হোসেনের স্ত্রী, বড় ছেলে ও দুই মেয়ে আছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএনসিসির অঞ্চল–৪–এর এক কর্মকর্তা বলেন, মুরাদ হোসেন ডিএনসিসির অঞ্চল–২–এ কাজ করতেন। তবে রাতে আরও কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে অঞ্চল–৪–এ থাকতেন। এই কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবারও তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর শুক্রবার জ্বর ও শ্বাসকষ্টের কথা জানা যায়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মুরাদ হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবার আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। হঠাৎ করে তা বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। রোববার সকালে তিনি মারা যান।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকালে বাবার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। আমাকে ফোন করে ইনহেলার নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবার শ্বাসকষ্ট ছাড়া শরীরে করোনার অন্য কোনো উপসর্গ ছিল না। হাসপাতাল থেকে বলেছে, তিনি করোনার রোগী নন। তবে করোনা পরীক্ষার কোনো রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। সকালে তাঁর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর দাফনের কাজ সম্পন্ন হয়।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনালের মোমিনুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার ভোররাতের দিকে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন করে জানালে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমাকে তিনি ওই কর্মীর শ্বাসকষ্টের কথা জানান। আর অন্য কোনো উপসর্গের কথা আমি জানি না।’

মোমিনুর রহমান বলেন, মুরাদ হোসেনের কোভিড–১৯ কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাঁর সঙ্গে ওই অঞ্চলের আর যে দু–তিনজন কাজ করেছেন, তাঁদের আইসোলেশনে রাখতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের জামিলুর রেজার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি ফোন না ধরায় কথা বলা যায়নি।