দিনাজপুরে ত্রাণ না পেয়ে মহাসড়ক অবরোধ
দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নে ত্রানের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের টেক্সটাইল দরবারপুর এলাকায় বাঁশের প্রতিবন্ধকতা দিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় মাস ধরে এলাকার অনেকে কর্মহীন হয়ে আছেন। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে সবাই বিপাকে আছেন। সরকার থেকে এখনও কোনো প্রকার ত্রান সহায়তা পাননি তাঁরা। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কারও খোঁজ নিতে এলাকায় আসেননি।কারও ফোন পর্যন্ত ধরছেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্য অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (আইডি কার্ড) ফটোকপি জমা নিয়েছেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের বেশি সময় গেলেও তিনি কোন প্রকার ত্রান সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারেননি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরিা শুধুমাত্র নিজেদের স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের মাঝে ত্রান বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরবন ইউপির চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায় বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরুর পর ইউনিয়নের ৩৩০টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ তেল, লবণ, ডাল এবং ৪২০টি পরিবারে পাঁচ কেজি চালসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রায় তিন হাজার মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কাছে ওই তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে পর্যায়ক্রমে প্রকৃত অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে ত্রান পৌঁছে দেওয়া হবে।
অবরোধ কর্মসূচিতে দুই হাজারের বেশি নারী-পুরুষ অংশ নিয়ে ত্রাণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অবরোধ চলাকালে রাস্তার উভয় পাশে আটকা পড়ে তিন শতাধিক পণ্য সরবরাহকারী যানবাহন। পরে ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাগফুরুল হাসান আব্বাসী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
ইউএনও মাগফুরুল হাসান আব্বাসী বলেন, 'ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের অভিযোগ শুনেছি। ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান একটি তালিকা করে আমাদের হাতে দিয়েছেন। যারা ত্রাণ পাওয়ার যোগ্য দু-এক দিনের মধ্যেই তাদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।'