মানিকগঞ্জে আক্রান্ত ১৫ জনের তিনজন চিকিৎসক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তিনজন চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ ওই তিন চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মানিকগঞ্জে এখন পর্যন্ত ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত তিন চিকিৎসক হলেন, কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজের একজন সহযোগী অধ্যাপক এবং সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তা। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার থেক সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যত বন্ধ রয়েছে। শুধু জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছ। এই চিকিৎসকদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনা শনাক্ত হয়। তবে মানিকগঞ্জে আক্রান্তদের তালিকায় তিনি নেই বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানেরও (আইইডিসিআর) হিসেবে তিনি ঢাকার বাসিন্দা এবং সেখান থেকে তাঁর সংক্রমণ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানিয়েছে।

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সর্বশেষ সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এই হাসপাতালের আরেকজন চিকিৎসক সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে ঢাকায় একটি হাসপাতালে তিনি করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। গত ২২ এপ্রিল তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।

সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী মোল্লাহ বলেন, ওই দুই চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ারেন্টিনে রাখ হয়েছে। এ কারণে জনবলসংকটের কারণে হাসপাতালটিতে জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য সব বিভাগ বন্ধ রয়েছে।

এ দিকে কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মেডিকেল কলেজের ওই চিকিৎসক ৮ এপ্রিল সর্বশেষ কর্মস্থলে আসেন। পরের দিন তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তিনি সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঢাকার একটি হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন। গত বুধবার পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে।

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বলেন, ওই চিকিৎসকের বাবার মৃত্যুতে স্বজনেরা একত্রিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে তাঁর এক ভাই চিকিৎসক। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভাইয়ের সংস্পর্শে এসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে