শিবচর ও রাজৈরে নতুন করে করোনা শনাক্ত

মাদারীপুরের শিবচর ও রাজৈর উপজেলায় নতুন করে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আক্রান্ত দুজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৩২। শিবচরের আক্রান্ত ১৯ জনের মধ্যে মারা গেছেন দুজন। জেলায় এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। বাকিরা ঢাকা ও মাদারীপুরে চিকিৎসাধীন।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, শিবচরে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের এক নারী (৫৫)। সম্প্রতি তিনি মুন্সীগঞ্জ থেকে শিবচরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। দুই-তিন দিন পরই জ্বর, সর্দি ও কাঁশিতে আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখেন। ২৪ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গত সোমবার রাতে তাঁর পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। তাতে দেখা যায়, ওই নারী করোনা 'পজিটিভ'। তাঁকে মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। দুপুরেই প্রশাসনের লোকজন ওই নারীর বাড়িসহ আশপাশের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করেন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই এলাকার রাস্তাসহ ৫০টি ঘরবাড়ি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। সেখানে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকার সব বাড়িতে খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

রাজৈর উপজেলার করোনা শনাক্ত হওয়া তরুণের (২২) বাড়ি বাজিতপুর ইউনিয়নে। তিনি ১৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। উপসর্গ ছাড়াই ২৫ এপ্রিল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আসা পরীক্ষার প্রতিবেদনে তাঁর করোনা 'পজিটিভ' আসে।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, 'বাজিতপুর ইউনিয়নে মোট ৫জন করোনায় আক্রান্ত আছেন। এ ছাড়া উপজেলার খালিয়া ইউনিয়নের একজন আছেন। এখানে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের উপসর্গ থাকছে না। এটি আমাদের কাছে খুবই উদ্বেগের বিষয়।'

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৪৫১ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৪০০টির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৬৯ জন। আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২ জন; ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন জেলার আরও দুজন।'