স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁর স্বামীর ওপর করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বজনদের হামলা

পটুয়াখালীর বাউফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে আসা এক যুবকের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের নমুনা পরীক্ষায় ফল পজিটিভ এসেছে। এটা ওই যুবকের পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা মানতে নারাজ। এ ঘটনার জন্য তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী স্বাস্থ্য সহকারীকে দায়ী করেন। এর জের ধরে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁরা ওই স্বাস্থ্য সহকারীর স্বামীর ওপর হামলা চালান ও তাঁকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য সহকারী ও তাঁর স্বামীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগের খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা করোনায় আক্রান্ত রোগীসহ ১০ জনকে আটক করে। পরে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ৯ স্বজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ২৪ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়। ২৬ এপ্রিল বরিশাল থেকে প্রতিবেদন আসে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত রোগী ও তাঁর স্বজনেরা মানতে নারাজ যে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য তাঁরা আমার স্বাস্থ্যকর্মীকে দায়ী করেন এবং তাঁর স্বামী ও তাঁর ওপর চড়াও হন।’ তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগী কোনো নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে বাইরে ঘোরাঘুরি করেন এবং তাঁর স্বজনদের সংস্পর্শে যান। এ ঘটনা জানতে পেরে যিনি করোনায় আক্রান্ত, তাঁকে আইসোলেশনে এবং যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হামলা চালানোর বিষয়ে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।