চুয়াডাঙ্গায় আইসোলেশনে থাকা ব্যবসায়ীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে করোনা আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে থাকা ৩০ বছর বয়সী এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ শেষে করোনা প্রটোকল মেনে সন্ধ্যায় নিজ এলাকা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে দাফন করা হয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিবার দরিদ্র হওয়ায় লকডাউন সময়ের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির জানান, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার পর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। তবে, তাঁকে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে আজ বৃহস্পতিবার রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরএমও বলেন, কাগজ হাতে পেয়ে নমুনা সংগ্রহের আগেই স্বজনেরা ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে যায়। তবে রাজশাহীতে না নিয়ে গ্রামের বাড়িতে নেন। সেখানে দুপুরে গোসলও করেন ও বিকেলে মারা যান। মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য বিভাগের একটি চিকিৎসক দলকে নমুনা সংগ্রহ করতে পাঠানো হয়। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার সংশ্লিষ্ট ল্যাবে পাঠানো হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের মাধ্যমে ওই বাড়িতে লকডাউনকালীন খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, যেহেতু ওই ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে ছিলেন। তাই ঝুঁকি এড়াতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনা প্রটোকল মেনে দাফন করা হয়েছে।