নীলফামারীতে স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুজনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নীলফামারীতে নতুন করে একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ দুজনের শরীরের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মণ। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, শনাক্ত দুজনের মধ্যে একজন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী (৪২)। তাঁর বাড়ি জলঢাকা উপজেলায়। অপরজন হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ঢাকা ফেরত পোশাক কারখানার শ্রমিক (২০)। গত ২৪ এপ্রিল ওই দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সারোয়ার আলম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই কর্মীর শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ ছিল না। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ যারা করোনা নিয়ে কাজ করছেন পর্যায়ক্রমে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওই স্বাস্থ্যকর্মী এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

নীলফামারী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রাশেবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের ২০ বছর বয়সী ওই কিশোর ঢাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। গত ১৭ এপ্রিল তিন ভাইসহ তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এ সময় তাঁর জ্বর, গলা ব্যথা দেখা দেয়। ২৪ এপ্রিল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, ফলাফল হাতে পাওয়ার পর ওই কিশোরকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বাড়ি লকডাউন করে পরিবারের ছয় সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার ওই কিশোরের ঢাকা ফেরত অপর দুই ভাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

গত ৭ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ দিনে জেলায় মোট ১৫ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ছয়জন। বর্তমানে নয়জন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।