পালিয়ে গেলেন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্রগ্রাম থেকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসা এক ফল ব্যবসায়ীর করোনাভাইরাস পরীক্ষায় গতকাল বৃহস্পতিবার পজেটিভ এসেছে। তবে উপজেলা প্রশাসন তাঁর বাড়িতে পৌঁছার আগেই তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও প্রশাসন ধারণা করছে, তিনি আবারও চট্টগ্রাম চলে গেছেন। এ ঘটনায় দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। দুটি পরিবারের ১০জন সদস্যকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল চট্রগ্রাম থেকে উপজেলার নাইঘর গ্রামের এক ব্যক্তি বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে ২৬ এপ্রিল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠান।

গতকাল ওই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া ছিদ্দিকা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাননি। বাড়ি থেকে তাঁর মা জানান, নমুনা দেওয়ার পর থেকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে ছেলে চলে গেছেন। এ সময় তাৎক্ষণিক প্রশাসন তাঁর নিজ ঘর এবং পাশে তাঁর ভাইয়ের ঘরসহ দুই পরিবারের ১০ জন সদস্যকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করে ঘর দুটি লকডাউন করে দেন।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিটি চট্টগ্রামে পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন। বাড়িতে আসায় তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তাঁর করোনা পজেটিভ এসেছে। তাঁকে বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আবারও চট্টগ্রামে চলে গেছেন। দুটি পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারি ভাবে খাদ্য সামগ্রি দেওয়া হবে।