টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই ডাকাত নিহত: র‍্যাব

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।

নিহত ডাকাতেরা হলেন টেকনাফের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল হাকিম (৩০) ও মো. আবদুর রশিদ (৩৫)।

র‍্যাবের দাবি, নিহত ওই দুজন ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় র‍্যাবের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। র‍্যাব দেশে তৈরি তিনটি একনলাবন্দুক, নয়টি ওয়ান শুটারগান, তিনটি দেশি রাইফেল, ১১টি তাজা কার্তুজ, ১১টি রাইফেলের গুলি ও দুটি রামদা উদ্ধার করেছে। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টা থেকে আজ শুক্রবার ভোররাত চারটা পর্যন্ত উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা শালবাগান রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের পাহাড়ের পাদদেশে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব-১৫–এর টেকনাফ সিপিসি-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বিমান চন্দ্র কর্মকার জানান, রোহিঙ্গা শিবিরের পশ্চিমের একটি পাহাড়ে জকির গ্রুপের সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক ইউং কমান্ডার আজিম আহমেদ, উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম, মেজর মেহেদী হাসানের নেতত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা র‍্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজন র‍্যাব সদস্য আহত হলে জানমাল রক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছু সময় গুলিবিনিময়ের পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুই ডাকাতের লাশ, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিমান চন্দ্র কর্মকার আরও জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে চলতি বছরের ২ মার্চ টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন জাদিমোরার পশ্চিমপাশে গহিন পাহাড়ে র‍্যাবের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে এক দিনে সাতজন নিহত হয়। এ সময় তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১২টি পিস্তলের গুলি ও ১৩টি ওয়ান শুটারগানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছিল।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৮২ জন রোহিঙ্গা।