টেকনাফে তিনজনকে অপহরণ, একজনের লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত তিন কৃষকের মধ্যে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। অন্য দুজনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের মুক্তির জন্য ২০ লাখ দাবি করা হচ্ছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। নিহত কৃষক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের মৌলভী আবুল কাছিমের ছেলে আক্তারুল্লাহ (২৪)। অপহৃত অপর দুজন হলেন মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২৫), মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০)।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে উনছিপ্রাং পুটিবনিয়ার পশ্চিমে ছনখোলা এলাকা থেকে ওই কৃষকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, পাহাড়ি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে হোয়াইক্যং মিনাবাজারের শামসু হ্যাডম্যানের ধানখেতে পাহারা দিচ্ছিলেন মোহাম্মদ শাহেদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০) ও আক্তারুল্লাহ (২৪)। একপর্যায়ে সশস্ত্র একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তাঁদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে শাহেদের মোবাইল থেকে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকাসহ মোট ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। অন্যথায় তাঁদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ শাহেদের পরিবারের বরাত দিয়ে শামসু হ্যাডম্যান বলেন, শাহেদ ভোরে মোবাইল ফোনে তাঁর মাকে জানান, আক্তারুল্লাহকে মেরে ফেলেছে হাকিম ডাকাত। ২০ লাখ টাকা না দিলে তাঁদের দুজনকেও মেরে ফেলা হবে। এরপর আজ মৃতদেহের কাছ থেকে একটি চিরকুট ও খালি কার্তুজ পাওয়া গেছে।

হোয়াইক্যং ইউপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, বুধবার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ছয় কৃষককে অপহরণ করেছিল। পরে কৌশলে তিনজন ফিরে এসেছেন। অপহৃতদের একজনকে হত্যা করা হয়েছে।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনার পর থেকে গহিন পাহাড়ে পুলিশের ছয়টি দল অভিযান চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আক্তারুল্লাহসহ তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে শোনা যাচ্ছে। পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে। এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হলো।