এই বলছেন 'করোনায় আক্রান্ত', আবার বলছেন 'না'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জেনে ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক কারখানার এক শ্রমিক রাজশাহী গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে রাজশাহীর খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে তিনি একেক সময় একেকটা বলছেন।


রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালে আসার পর ওই ব্যক্তি জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ঢাকায় পরীক্ষা করে তিনি এটা জানতে পেরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মিশন হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। পরে আবার তিনি দাবি করেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। আজ শনিবার জরুরি ভিত্তিতে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে ফলাফল জানা যেতে পারে।


এই ব্যক্তির বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। তাঁর বয়স প্রায় ৩৫ বছর। তাঁর এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বলেন, জ্বর–সর্দির মতো উপসর্গ থাকায় গত ২৭ এপ্রিল ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করতে দেন ওই ব্যক্তি। পরের দিন নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা থেকে রাজশাহী চলে আসেন। ওই যুবক আসার পর এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তিন দিন আগে তিনি গ্রামে এসেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, গতকাল শুক্রবার আসার পর গ্রামে না ঢুকে সরাসরি হাসপাতালে গেছেন তিনি।


গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, আক্রান্ত ওই যুবকের বাড়িতে তাঁদের দুই কর্মীকে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কবে গ্রামে এসেছেন, সে বিষয়ে গ্রামবাসী কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। গতকাল পর্যন্ত এ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৩।