রামুতে খামারের পাঁচটি গরু চুরি, দিশেহারা মুক্তিযোদ্ধা

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী বুথপাড়ায় গত বছর ১৪টি গরু নিয়ে দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে লাভের মুখও দেখেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ শনিবার ভোররাতে দুর্বৃত্তরা তাঁর স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।

দুর্বৃত্তরা খামার থেকে চুরি করে নিয়ে গেছে পাঁচটি গরু। মোজাফফর আহমদ রামু উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার। বুথপাড়ার চৌমুহনী-উখিয়ারঘোনা সড়কের পাশে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করে খামারটি গড়ে তোলা হয়। খামারে গরু ছিল ১৪টি।

মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, চকরিয়া কেন্দ্রিক একটি চক্র গরু লুটের সঙ্গে জড়িত বলে খবর পাওয়া গেছে। গোয়াল থেকে পাঁচটি গরু লুট নিয়ে পালানোর ঘটনা কারও নজরেও আসেনি। এ ব্যাপারে রামু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ৩-৪টা করে গরু লুটের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফরের।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের খামার থেকে গরু চুরির খবর পেয়েছেন। ইতিমধ্যে খামার এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। গরু চোর চক্রের সদস্যদের ধরতে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার শত শত মানুষ। আয় রোজগার বন্ধ হওয়ায় বেকার হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ। তাদের একটি অংশ লোকজনের বাসাবাড়িতে হানা দিয়ে গৃহপালিত গবাদিপশু-মুরগি, খেতের ফসল, খামারের মাছ চুরি করছে। গভীর রাতে চুরি সংগঠিত হচ্ছে বলে কেউ চোরদের ধরতেও পারছে না।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তথ্য মতে, গত সাত দিনে উপজেলার মেরোংলোয়া, পশ্চিম মেরোংলোয়া, সাতঘরিয়াপাড়া, সিপাহিপাড়া ও রামু থানা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ২০টি গরু লুট হয়েছে।

রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের মতো বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে কৃষকের গরু-ছাগলসহ মুরগি চুরির খবর আসছে। কিছু এলাকায় গৃহপালিত পশু ও ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে লোকজন।