ঘরোয়া বিয়েতেও লোকসমাগম, বরের অর্থদণ্ড

সিলেট
সিলেট

ঘরোয়া পরিসরে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে বরের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। বরের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। 

শনিবার সন্ধ্যায় লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় বরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও রাখী আহমেদ এ অর্থদণ্ড দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মহিদপুর গ্রামের তরুণ নাজমুল ইসলামের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার তাঁর বাড়িতে। ঘরোয়া আয়োজন হলেও বিয়েতে বর ও কনেপক্ষের উপস্থিতি বেশি ছিল। ফেঞ্চুগঞ্জের উত্তর কুশিয়ারা ইউপির চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিনসহ অনেকে এতে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে বরের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা হয়। খবর পেয়ে বিয়ের এক দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনও বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ইউএনও প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বর নাজমুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি। ফেসবুকে যে ছবি ছড়িয়েছে, তাতে দেখা গেছে, বরের ডান দিকে ছিলেন কুশিয়ারা ইউপির চেয়ারম্যান আহমেদ জিলু। তিনি বলেন, বিয়েটি ঘরোয়াভাবে হওয়ায় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তবে বরের সঙ্গে ছবি তোলার সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না হওয়া ও মাস্ক না পরে বরের পাশে দাঁড়ানো ঠিক হয়নি।