পঞ্চগড়ে প্রথম শনাক্ত হওয়া নারীর পরের দুই পরীক্ষায় করোনা 'নেগেটিভ'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ৪২ বছর বয়সী নারীর তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষার ফলও ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান বলেন, ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা পরীক্ষায় করোনা ‘নেগেটিভ’ এসেছে। প্রথমবার করোনাইরাস শনাক্ত হওয়া থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ওই নারীর শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তিনি নিজ বাড়িতে সুস্থ রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হওয়া ওই নারীর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ওই নারী স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করতেন। গত ৬ এপ্রিল পরিবারের সদস্যরা মিলে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। এরপর পরিবারের সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ১৪ এপ্রিল ওই নারী, তাঁর স্বামীসহ পরিবারের পাঁচজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। পরদিন পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে শুধু ওই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই নারী রোগীকে দিয়ে ওই দিন জেলায় প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় পরদিন সকাল ১০টা থেকে পঞ্চগড় জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্য গত ২৭ এপ্রিল ওই নারীসহ তাঁর পরিবারের মোট পাঁচ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২৯ এপ্রিল রাতে ওই নারীসহ পরিবারের পাঁচজনেরই করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসে। গত ৩০ এপ্রিল আবারও ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার রাতে ওই নারীর করোনা পরীক্ষার ফল তৃতীয় দফায় ‘নেগেটিভ’ আসে।

সিভিল সার্জন ফজলুর রহমান বলেন, ‘ঢাকাফেরত ওই নারীর শরীরে জেলায় প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হয়। আমরা দ্বিতীয়বার তিনিসহ তাঁর পরিবারের মোট পাঁচজনের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষার জন্য তাঁদের নমুনা ল্যাবে পাঠাই। দ্বিতীয়বারের পরীক্ষায় তাদের সবার ফল “নেগেটিভ” এসেছে। চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৩০ এপ্রিল আবারও ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। শনিবার রাতে পাওয়া সর্বশেষ পরীক্ষার ফলেও তাঁর করোনা “নেগেটিভ” এসেছে।’