চালুর ৩ দিন পরই পার্সেল স্পেশাল ট্রেনের রুট পরিবর্তন

রেলপথে কৃষিপণ্য পরিবহনকে গুরুত্ব দিয়ে তিনটি পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি ট্রেন ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুুরের দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত চালু করা হয়েছিল। মে মাসের প্রথম দিন থেকে ট্রেনটি যথারীতি চলাচল করেছে। তবে চালুর মাত্র তিনদিন পরই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই ট্রেনের রুট বদল করে দেওয়া হয়েছে।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যাওয়ার পরিবর্তে ট্রেনটি এখন ঢাকা থেকে নরসিংদী-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ হয়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসা–যাওয়া করবে বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

 রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার থেকে এই পার্সেল ট্রেন প্রতিদিন সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। ঠিক একই পথে ফিরতি ট্রেন সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

ট্রেন পরিচালকের একটি বগি ও অন্য ৪টি পণ্যবাহী বগিসহ মোট ৫টি বগি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করবে এই ট্রেন। তবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে এই ট্রেন চলাচল বাতিল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এসিস্ট্যান্ট চিফ অপারেটিং সুপারিট্যান্ডেন্ট সাহেব উদ্দিন।

রুট পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা বলেন, পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারেননি কৃষক, পাইকার ও অন্য ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করেই ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কোনোপ্রকার প্রচার ছাড়া এভাবে ট্রেন চালুর ফলে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। তাই ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ট্রেনে পণ্য পরিবহনকে জনপ্রিয় করতে ব্যাপক প্রচার চালানোর পক্ষে মত দেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্রেনের রুট পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ স্টেশন সুপার জহুরুল ইসলাম প্রচারের ঘাটতির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছিল। গত তিন দিনে পণ্য পরিবহনের হার খুবই নগণ্য ছিল। তাই কর্তৃপক্ষ রুট পরিবর্তন করে থাকতে পারে।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহসভাপিত শঙ্কর সাহা বলেন, পণ্যবাহী ট্রেন চালু করা কৃষক, পাইকার, ব্যবসায়ীদের জন্য ইতিবাচক। কিন্তু হুটহাট সিদ্ধান্ত বদলের ফলে ব্যবসায়ীরা দ্বিধাগ্রস্ত হবেন বলে মত দেন তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মাজেদ বলেন, রুট পরিবর্তনের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পণ্য পরিবহনের সুবিধা সম্পর্কে কৃষকেরা যেন জানতে পারেন, সে জন্য কৃষি বিভাগের লোকজনের মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে।