মেডিকেলের ছাত্রসহ চুয়াডাঙ্গায় ৭ জন শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গায় জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা, মেডিকেল কলেজের ছাত্রসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গত ৩০ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সদর উপজেলার এ ব্যক্তির নামও রয়েছে।


এ নিয়ে জেলায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৭।


জেলার সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


করোনায় আক্রান্ত ওই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারদের সঙ্গে একই ডরমিটরিতে বসবাস করায় আজ থেকে ডরমিটরিটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার প্রথম আলোকে জানান, ওই ডরমিটরিতে বসবাসকারী চারজন সহকারী কমিশনারকে সেখানে থেকে ‘হোম অফিস’ করতে বলা হয়েছে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারী কমিশনার জানান, চলমান পরিস্থিতিতে আতঙ্ক দূর করতে ওই ডরমিটরিতে বসবাসকারী সবাই স্বেচ্ছায় নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ আলমডাঙ্গায় ইতালিফেরত এক যুবক প্রথম করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হন। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা শেষে ৩১ মার্চ সুস্থ হয়ে তিনি বাড়িতে ফেরেন। বাকি নয়জনের মধ্যে তিনজন হাসপাতাল আইসোলেশনে ও ছয়জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আজ নতুন শনাক্ত সাতজনের মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া বাকি ছয়জনকে হোম আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে তাঁদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান প্রথম আলোকে জানান, নতুন করে আক্রান্ত সাতজনের মধ্যে মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্রসহ পাঁচজনই ঢাকা থেকে সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে।