ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ফেনী নদীর সীমান্ত দিয়ে সে দেশের একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিএসএফের এ ধরনের তৎপরতাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন।

আজ বুধবার ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ করোনাভাইরাস কিট পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করতে তাঁর দপ্তরে যান। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি ভারতের হাইকমিশনারের কাছে আলোচনায় তুলেছেন বলে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে পুশইনের চেষ্টা প্রসঙ্গে বলেন, এ ধরনের ঘটনা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে বিষয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল বিএসএফ ভারতের একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে পুশইনের চেষ্টা করেছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা মালামালসহ পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে থাকা ট্রাকগুলো বাংলাদেশে দ্রুত প্রবেশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেন। তিনি জানান, ট্রাকগুলো আটকে থাকায় বাংলাদেশি আমদানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সময় রেলপথে উভয় দেশের মালামাল পরিবহনের বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সমস্যা দূর করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, ভারত থেকে আসা ৬১ জন ড্রাইভার ও তাঁদের সহযোগীকে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাঁদের দ্রুত ভারতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।