কুমিল্লা নগরে প্রবাসীর পর স্ত্রী ও ছেলের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা নগরের রাজগঞ্জ রাজবাড়ি এলাকার ৩৫ বছর বয়সী প্রবাসীর পর তাঁর স্ত্রী (৩০) এবং আট বছরের ছেলের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে কুমিল্লা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বুধবার কুমিল্লা জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) আক্রান্তদের মধ্যে আদর্শ সদর উপজেলায় (কুমিল্লা সিটি করপোরেশন) দুজন, মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগরে ৩০ বছরের নারী, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ৭০ বছরের এক পুরুষসহ তিনজন, লাকসাম উপজেলায় ৩৮ ও ২৭ বছরের দুই পুরুষ, দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদে ৫৫ বছরের এক পুরুষ, আলমপুর গ্রামের ৬০ বছরের এক পুরুষ এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ২৫ বছরের এক নারী রয়েছেন। এ নিয়ে কুমিল্লা জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৮।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জিয়াপুরে প্রথম ৯ এপ্রিল দুই শিশুর করোনা শনাক্ত হয়। ৯ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ জেলায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত মাত্র আট দিনে শনাক্ত হলো ৫৬ জন। দ্রুত সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা সংক্রামক প্রতিরোধ সমন্বয়ক নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন, নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের পর দেখা গেল, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। এ জন্য জনগণকে ঘরে থাকতে হবে এবং এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৫টি উপজেলায় ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে দেবীদ্বারে ২২ জন, লাকসামে ১৩ জন, চান্দিনায় ১১ জন, মুরাদনগরে ১১ জন, তিতাসে ১১ জন, দাউদকান্দিতে ৯ জন, বুড়িচংয়ে ৮ জন, বরুড়ায় ৭ জন, মনোহরগঞ্জে ৫ জন, আদর্শ সদর উপজেলায় ৩ জন, হোমনায় ২ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ২ জন, সদর দক্ষিণে ২ জন, চৌদ্দগ্রাম ও মেঘনা উপজেলায় ১ জন করে। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৬ জন। দেবীদ্বারের তিনজন ও চান্দিনার একজনসহ মোট চারজন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।