করোনা আক্রান্ত নির্মাণ শ্রমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত একজন নির্মাণ শ্রমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তিনি গা ঢাকা দেন।প্রশাসনের লোকজন তাঁকে খুঁজে পাননি।

আজ মির্জাপুরে ওই নির্মাণ শ্রমিক সহ নতুন করে দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।অপরজন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী। গত ৪ মে দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এ নিয়ে উপজেলায় মোট সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।এর মধ্যে উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের রেনু বেগম (৫৫) মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ভাওড়া গ্রামের বৈরাগী পাড়া এলাকার অখিল চন্দ্র সরকার ও সাটিয়াচড়া গ্রামের আনন্দ মোহন রাজবংশী।

ইউএনও মো. আবদুল মালেক জানান, পলাতক নির্মাণ শ্রমিক করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়েছিলেন। তিনি উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।তিনি আজ মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী ডুবাইল এলাকায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁর খোঁজে উপজেলা প্রশাসনের একটি অগ্রগামী দলকে পাঠানো হয়। কিন্তু করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে পৌছার আগেই ওই নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
ওই নির্মাণ শ্রমিকের বাড়ি লালমনিরহাট বলে জানা গেছে।

এদিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর আক্রান্তের খবর পেয়ে ইউএনও মো. আবদুল মালেক ও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনে যান। সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী যে কোয়ার্টারে থাকেন তা লকডাউন করা হয়। একই সঙ্গে ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র মতে, মির্জাপুরে এ পর্যন্ত ২৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।