তুলে নিয়ে যাওয়া দিদারুল এবং মিনহাজ কারাগারে

মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি
মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত, ঢাকা। ছবি: ফাইল ছবি

রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ক দিদারল ইসলাম ভূইয়া ও মিনহাজ মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গ্রেপ্তার দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আসামি দিদারুল ও মিনহাজ মান্নানকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে রমনা থানা-পুলিশ। আদালত রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানির জন্য পরবর্তীতে দিন ঠিক করেছেন। কেস ডকেটসহ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন জানান, আসামি দিদারল ইসলাম ভূইয়া ও মিনহাজ মান্নানের পক্ষে আদালতে তাদের আইনজীবী হাজির ছিলেন। জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গতকাল বুধবার একই মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং মুশতাক আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ক দিদারল ইসলাম ভূইয়াকে মঙ্গলবার ইফতারের আগমুহূর্তে নিজ বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র‌্যাব-৩ প্রবাসী সাংবাদিক, কার্টুনিস্টসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা করে।

মামলার আসামিরা হলেন, কার্টুনিস্ট আহম্মেদ কবির কিশোর, ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মেদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য মো দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও সাহেদ আলম, সায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, র‌্যাব-৩ পর্যালোচনা করে দেখেছেন আই এম বাংলাদেশী (ইংরেজি হরফে লেখা) পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুুলকারনাইন, আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মোস্তাক আহম্মেদ নামে পাঁচজন দীর্ঘদিন ধরে ওই ফেসবুক পেজটি পরিচালনা করে আসছেন।

এই ফেসবুক পেজ থেকে জাতির জনক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অপপ্রচার বা মিথ্যা জেনেও তাঁরা গুজবসহ বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছিলেন। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে র‌্যাব।

 এজাহারে র‌্যাব বিভিন্ন পোস্টের লিঙ্ক দিয়েছে।

 মামলাটি তদন্ত করছে রমনা থানা-পুলিশ।