মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় জোর সাত রাষ্ট্রদূতের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা করোনাভাইরাসের মতো মহামারির সংক্রমণের সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁদের মত, সংকটকালীন সময়ে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে জনগণের জন্য অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করাটা জরুরি। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা নিজেদের টুইটে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে এই অভিমত দিয়েছেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সরকার বেশ কয়েকজন মানবাধিকারকর্মী, কার্টুনিস্ট ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতেরা আজ আলাদা আলাদাভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে টুইট করেন। গতকাল বুধবার সরকার ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে।

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তাঁর টুইটে লিখেছেন, সব জায়গায় জনস্বার্থ সুরক্ষায় অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচারের সুযোগ থাকা দরকার। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গণমাধ্যমকর্মীর কণ্ঠও যাতে রোধ করা না হয়।

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন টুইটে লিখেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখাটা এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে, সেই সঙ্গে গণমাধ্যমও যেন তার দায়িত্বটা পালন করতে পারে।

ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিঙ্ক তাঁর টুইটে লিখেছেন, সংকটের সময়ে এসে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। জনগণের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাওয়ার প্রয়োজন। গুজব যখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, সে সময়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধে ও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া উচিত।

সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা স্লাইটার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লিকেন এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পেটারসন তাঁদের টুইটে লিখেছেন, কোভিড-১৯-এর সংকটের সময়ে এসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা করা উচিত। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠ যেন থামিয়ে দেওয়া না হয়।

নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ লিখেছেন, যেকোনো জায়গায় বিশেষ করে সংকটকালীন সময়ে বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাধীন গণমাধ্যমের তথ্য প্রচার গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তথ্য হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী।