করোনায় ১১৫০ দুস্থ পরিবারকে নিত্যসামগ্রী দিয়েছে মেক্সা

মতিঝিল মডেল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (মেক্সা) ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ শ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মতিঝিল মডেল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (মেক্সা) ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ শ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থীদের সমাজসেবামূলক সংগঠন মতিঝিল মডেল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (মেক্সা) ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ শ পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি ওষুধও সরবরাহ করা হচ্ছে।

মতিঝিল মডেল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তা কাজী রাজীব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, 'করোনার এই মহামারির সময়ে আমাদের সংগঠন মেক্সা দুস্থ-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১২৭টি পরিবারকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে।'

মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী কাজী রাজীব হাসান বলেন, 'আমরা ৭ হাজার পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট করেছি। খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার পাশাপাশি ডাক্তারদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।' তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে মেক্সার সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই সংগঠনটির সদস্যদের দেওয়া অনুদানের টাকা দিয়ে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা হচ্ছে।

তিন থেকে চার বছর আগে মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেক্সা নামের সংগঠনটির যাত্রা শুরু। শুরু থেকে নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে মেক্সার সদস্য চিকিৎসক আবদুল আলীম খানসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাছেন।

মেক্সার সদস্যরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় মেক্সা ডক্টর প্যানেল গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেলে ৬১ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁরা সবাই মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টেলিফোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা পরামর্শ সেবা নিতে পারছেন। দেশের যে কোনো প্রান্তের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বন্ধুতায় 'মেক্সা' নামের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।