ভালুকায় স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

ময়মনসিংহের ভালুকা পৌর সদরে মাস্টার হাসপাতালের এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের মালিক লুৎফর রহমান।

লুৎফর রহমান বলেন, কিছুদিন আগে উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের এক নারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই সময় তিনি চিকিৎসকের কাছে তাঁর রোগের উপসর্গ গোপন করেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে দেখার পর ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ওই দিনই ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর পর রাতের বেলায় জানা যায়, ওই নারীর করোনা ‘পজিটিভ’। এরপর তাঁদের হাসপাতালে ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা সবার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শুক্রবার পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলে একজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হন। তবে তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। তিনি তাঁদের হাসপাতালেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে।

এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহেলী শারমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে এ বিষযে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, মাস্টার হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্তের পর হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই করোনা রোগী ওই হাসপাতালেই আইসোলেশনে থাকবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বেসরকারি হাসপাতালের ওই স্বাস্থ্যকর্মীসহ উপজেলায় মোট ছয়জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি চারজন নিজ নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। তাঁদের মধ্যে পোশাক কারখানার এক শ্রমিক দম্পতি রয়েছেন। অপর দুজন গৃহিণী।