রিলিফ চুরি নিয়ে লেখা কি অন্যায়, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

এই দুর্যোগের সময় রিলিফ চুরি নিয়ে লেখা অন্যায় কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এখন চাল চুরি হচ্ছে, গম চুরি হচ্ছে, সয়াবিন তেল চুরি হচ্ছে, রিলিফ চুরি হচ্ছে—এসব সম্পর্কে যদি লিখতে যান, তাহলে কি সেটা অন্যায় হবে? সত্য উদ্‌ঘাটন করাই তো সাংবাদিকদের কাজ।’

আজ শনিবার দুপুরের দিকে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি করোনা মহামারির সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চরম অপব্যবহারের অভিযোগ করে তা বাতিলের দাবি জানান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি সুস্পষ্টভাবে সরকারকে জানাতে চায়, সরকারকে জনরোষের আগুন থেকে রক্ষার জন্যই বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির অপব্যবহার চলছে। এখনই এই গণবিরোধী আইন বাতিল করতে হবে। আমরা এই বৈশ্বিক মহামারির সময়ে সারা দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ করে গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি।’

বিএনপির মহাসচিব এই আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের এবং আদালত পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে না খোলা পর্যন্ত হত্যা-ধর্ষণসহ জঘন্য অপরাধ ছাড়া সব ধরনের গ্রেপ্তার বন্ধ রাখা, অথবা বিকল্প হিসেবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালত খোলার পর আত্মসমর্পণের শর্তে মুচলেকায় মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে লঘু অপরাধে ও রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দী, বয়স্ক ও নারী বন্দী, বিএনপির নেতা আবদুস সালাম পিন্টু ও লুৎফুজ্জামান বাবর, ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকারসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত কয়েক দিনে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, লেখকদের গ্রেপ্তারের ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে মানহানির একটি কার্যকর আইন থাকা সত্ত্বেও নির্যাতন ও হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বারবার ব্যবহার করছে সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কীভাবে সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে চলেছে, তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানোর ঘটনা।

সম্প্রতি সরকারের জারি করা একটি পরিপত্রের উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের জারি করা পরিপত্রগুলো কী রকম ডিকটেটরিয়াল, তা চিন্তা করা যায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ধরনের পরিপত্র জারি করে শুধু দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্নটা এসে যায়, সরকার এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নীরব কেন? নিশ্চয়ই এখানে কোনো দুর্বলতা আছে সরকারের, যে কারণে তারা প্রশ্রয় দিয়ে বেড়াচ্ছে।