মুকসুদপুরে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, সাত পুলিশ আহত

গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই হামলায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় মুকসুদপুরের খান্দারপাড় ইউনিয়নের বেজড়া-ভাটরা মোড়ে ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন মুকসুদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান ও শফিকুল; সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শামসুল; কনস্টেবল রবিউল ইসলাম, শাকিব আল হাসান, নূর হোসেন ও তানভীর হোসেন। তাঁরা মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাব্বির খানকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই থানার এসআই হায়াতুর রহমান। গতকাল রাতেই মামলা করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের দিস্তাইল গ্রামের জাকিরের সঙ্গে একই গ্রামের আলো খন্দকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে আলো খন্দকারের লোকজন গত বুধবার জাকির ও তাঁর সমর্থকদের পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার জাকিরের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে ৫৩ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেন। শনিবার সন্ধ্যায় দিস্তাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে মুকসুদপুর থানা-পুলিশের একটি দল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দিস্তাইল গ্রাম থেকে আসামিদের নিয়ে মুকসুদপুর থানায় আসার সময় উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামে খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খান ও তাঁর ভাই সজল খানের নেতৃত্বে আসামিপক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে তাঁরা নুরু মোল্লা নামের এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ যখন আসামিদের নিয়ে থানার দিকে যাচ্ছিল, তখন খান্দারপাড় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির খান আসামিকে ছেড়ে দিতে বলেন। ওই আসামিকে ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান এবং তাঁর ভাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই হামলায় পুলিশের সাত সদস্য আহত হন।

তবে পুলিশের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্বির খানে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পুলিশের ওপর হামলা করিনি বরং পুলিশে গ্রামবাসীর ওপর হামলা করে ৫০-৬০ লোককে আহত করেছে। এ ছাড়া পুলিশ অন্য পক্ষের আসামি গ্রেপ্তার করে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়ে গেছে। নিরীহ লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছিল বলে পরে তারাই (পুলিশ) তাঁকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়ে গেছে।’