মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পেলেন ছাত্রলীগ নেতা

বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা নগরের মুসলমানপাড়া এলাকার এক ছাত্রাবাসে রোববার কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামকে (টিংকু) আটকে রাখেন পাওনাদারেরা। খবর পেয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসে। পরে টাকা পরিশোধের মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান শরিফুল।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, রোববার বিকেলে নগরের মুসলমানপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে শরিফুল ইসলাম ও পাওনাদারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানতে পেরে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে আসে। থানায় আনার পর ১০ লাখ টাকা পাওনা পরিশোধের লিখিত আশ্বাস দিলে শরিফুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের ওই নেতাকে ছাড়াতে খুলনার এক সাংসদ একাধিকবার তাঁকে ফোন দিয়েছেন বলে জানান ওসি।

পাওনাদার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে শরিফুল ইসলাম ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে নগরের বয়রা এলাকার মো. রোকন, উজ্জ্বল, হাসান, ইয়াছিন আলীসহ কয়েকজনকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে প্রায় ১০ লাখ টাকা নেন। পাঁচ বছরেও তাঁদের বিদেশে পাঠাতে পারেননি তিনি। বিদেশে না পাঠিয়ে তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় খুলনা প্রেসক্লাবে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেন পাওনাদারেরা।

ভুক্তভোগী ইয়াছিন আলী জানান, শরিফুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় পাঠানোর নামে ২০১৫ সালে তিনিসহ আরও তিনজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু তাঁদের বিদেশে না পাঠিয়ে দীর্ঘদিন ওই টাকা রেখে দিয়েছেন। বারবার বলার পরও টাকাগুলো ফেরত দিচ্ছিলেন না। খুলনা শহরে আসার পর পাওনাদারেরা তাঁকে আটক করে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। এতে শরিফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে পাওনাদারদের মারধরের চেষ্টা করেন। তাঁরা ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।

জানতে চাইলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে কেউ টাকা পাবে না। ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ওই নাটক করা হয়েছে।’