বন্দী শিবির থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাচ্ছে কুয়েত

কুয়েত বিমানবন্দরে জাজিরা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। ছবি: রয়টার্স
কুয়েত বিমানবন্দরে জাজিরা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। ছবি: রয়টার্স

এক মাস ধরে কুয়েতের চারটি বন্দী শিবিরে থাকা চার হাজার ছয় শ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ফেরানোর প্রক্রিয়া আগামী মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় কুয়েত এয়ারলাইনস ও জাজিরা এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে প্রায় ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন। আজ রোববার দুপুরে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম প্রথম আলোকে মুঠোফোনে এ তথ্য জানান।

করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েত সরকার গত মাসে অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। ওই ক্ষমার আওতায় বাংলাদেশের চার হাজার ৬০৭ জন আত্মসমর্পণ করে গত মাসের শুরু থেকে অবস্থান করছেন দেশটির চারটি বন্দী শিবিরে। খাবারের সংকট, দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা আর বিনা চিকিৎসায় কয়েকজন সহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শিবিরে থাকা বাংলাদেশের কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এদের কেউ কেউ গত সপ্তাহে মিসরীয় কর্মীদের আয়োজিত বিক্ষোভে যোগ দেয়।

এস এম আবুল কালাম বলেন বলেন, কুয়েতের চারটি বন্দী শিবিরে থাকা বাংলাদেশের কর্মীদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। মঙ্গলবার থেকে কুয়েত সরকারের খরচে এরা দেশে ফিরছেন। প্রতি তিন দিন পর পর ফ্লাইট যাবে বাংলাদেশে। আমরা চেষ্টা করছি এ মাসের মধ্যে তা না হলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই যাতে বন্দী শিবিরে থাকা সবাইকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া যায়।

বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বন্দী শিবিরে থাকা চার হাজার ছয় শ জনের বাইরে আরও ১৭৩ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। এরা বিভিন্ন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার ফলে ওই ১৭৩ জন বাংলাদেশিও দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ অভিবাসী কর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে কুয়েত সরকার প্রায় ৩৮ হাজার বাংলাদেশিকে অবৈধ বা অনিয়মিত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।