প্রত‍্যেক সাংবাদিককে অন্তত ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়ার দাবি

জাফরুল্লাহ চৌধুরী
জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ঈদের আগে সব সাংবাদিককে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সংকটে প্রত‍্যেক সাংবাদিককে অন্তত ২০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। তাহলে তারা শক্তি পাবে, সত্য বলার জন্য বেঁচে থাকবে।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এশিয়ান জার্নালিস্ট সোসাইটি আয়োজিত সাংবাদিক গ্রেপ্তার, নিপীড়ন, গণ চাকুরিচ্যুতির প্রতিবাদ ও বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, 'আপনার বাবা ছিলেন রাজনীতিকদের দ্বারা পরিবেষ্টিত। আর আপনি পরিবেষ্টিত সামরিক ও বেসামরিক আমলা দিয়ে। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে যারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে চান, তারা হলেন সাংবাদিক।' তিনি আরও বলেন, 'সাংবা‌দিকরা কার্টুন করে, সমালোচনা করে তাঁদের, যাদের ভালোবাসে। সুতরাং আপনারা এই ব্যঙ্গ‌কে ভয় পান কেন?'

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, আইনজীবী আবেদ রেজা প্রমুখ।

আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।

শওকত মাহমুদ বলেন, যেসব গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা সরকারের সমালোচনা করে তাদের ওপর সরকার নির্বিচারে অত্যাচার চালাচ্ছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান।

এম আবদুল্লাহ বলেন, মালিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ করুন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন, সবার বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করুন।

সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, এই করোনার সময়েও সরকারের দমন-নির্যাতন থেমে নেই। একের পর এক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।

ইলিয়াস খান সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।