শরীয়তপুরে স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ আরও আটজনের করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরে আরও আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন। এ নিয়ে শরীয়তপুরে করোনাভাইরাসে (কোভিড–১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ ব্যক্তি। এ ঘটনায় জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুরে ৮ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য পরিদর্শক সম্প্রতি ঢাকায় ভ্রমণ করেছেন। ৭ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ তাঁর নমুনার পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর ডামুড্যা উপজেলার একটি ইউনিয়নে ছয় ব্যক্তি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁরা প্রত্যেকে অন্য জেলা ভ্রমণ করেছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ১৩ এপ্রিল। সোমবার পর্যন্ত শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় বেশিসংখ্যক ২১ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক ব্যক্তি, সুস্থ হয়েছেন এক ব্যক্তি। সদর উপজেলায় আক্রান্ত রয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে এক পরিবারেই আছেন চারজন। নড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। তার মধ্যে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আর এক ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়িতে আছেন। জাজিরায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ ব্যক্তি। তাঁদের একজনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ভেদরগঞ্জে রয়েছেন আক্রান্ত চার ব্যক্তি। আর গোসাইরহাটে দুজন। তাঁদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছেন। আরেক ব্যক্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন চিকিৎসক ও নার্সের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। এ কারণে ওই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য পরিদর্শক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে না জানিয়ে জেলার বাইরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে বিষয়টি গোপন রেখেছেন। এখন তিনি কত মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। আর হাসপাতালের বহির্বিভাগ আপাতত বন্ধ রাখা হবে। জরুরি বিভাগ ও আন্তবিভাগ চালু থাকবে, যাতে স্বাস্থ্যসেবা দিতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৬০ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় তিন ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন।