স্বজনেরা এগিয়ে না আসায় মৃত ব্যক্তির সৎকার করলেন ইউএনও

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চোরখালি মহা শ্মশানে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর মরদেহ সৎকার করা হয়। ছবি: প্রথম আলো
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চোরখালি মহা শ্মশানে বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর মরদেহ সৎকার করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শনিবার গভীর রাতে মারা যান নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী (৫০)। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় লাশ সৎকারে স্বজনেরা কেউ এগিয়ে আসেননি।অবশেষে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নাজমুল হুদা নিজেই ঘর থেকে লাশ বের করে চিতায় উঠিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।

বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরীর বাড়ি উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের চোরখালি গ্রামে।তাঁর বাবার নাম নির্মল রায় চৌধুরী।

এলাকাবাসী জানান, বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফেরেন।পরিবারের লোকজন তাঁকে পৃথক একটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করেন। গত শনিবার রাতে তিনি মারা যান। ঘরের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ রেখে আত্মগোপনে যান স্ত্রী ও সন্তানেরা।


পাড়া প্রতিবেশীসহ স্বজনদের কাছে না পেয়ে ইউএনও মো.নাজমুল হুদা আজ রোববার সকালে ঘর থেকে লাশ বের করে দুপুরে চোরখালি শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করেন।

জানতে চাইলে ইউএনও প্রথম আলোকে বলেন, 'আমার সঙ্গে ছিলেন কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাজল মল্লিক, গণমাধ্যমকর্মী মো.ফসিয়ার রহমান, কালিয়ার মন্টু বৈরাগী। বাবাকে মুখাগ্নি করার জন্য ছেলেও উপস্থিত ছিলেন।'