ত্রাণ চুরি: বরখাস্তেই সীমাবদ্ধ, জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপারে দল নীরব

চাল চুরির অভিযোগে অনেক জনপ্রতিনিধি আটক হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
চাল চুরির অভিযোগে অনেক জনপ্রতিনিধি আটক হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

করোনার দুর্যোগের সময়ে অভাবী মানুষের চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তাঁদের ৩৯ জনই সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে পাঁচজন ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ ছাড়া লকডাউন শুরুর পর থেকে ৬০ জনের মতো পরিবেশক (ডিলার), চাল ব্যবসায়ী ও তাঁদের সহযোগী চাল আত্মসাৎ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। তাঁদেরও বেশির ভাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা, কর্মী ও সমর্থক। অল্প কয়েকজন উপজেলা কমিটিতে আছেন। কেউ কেউ সহযোগী সংগঠনের নেতা।

২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে। তখন থেকেই সরকারি ত্রাণ ও খাদ্যসহায়তা কার্যক্রমের চাল আত্মসাৎ ও অনিয়মের খবর আসতে থাকে। মার্চের শেষ থেকে ৭ মে পর্যন্ত ৫০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্তের খবর পাওয়া গেছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অনিয়ম অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লকডাউনের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় চাল, টাকা ও শিশুখাদ্য ত্রাণ হিসেবে দিচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করছে। এর বাইরে মহিলা ও শিশুবিষয়ক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনেও খাদ্যসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অনিয়মের কারণে এরই মধ্যে ১০ টাকা দরের চাল বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে মানুষের চাহিদার কারণে তা চালু করতে হয়।

প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ২৫ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার পর মাত্র পাঁচজনের বিরুদ্ধে জেলা বা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসেবে বহিষ্কার করেছে। অন্যদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ১৪ জনের দলীয় পদ না থাকলেও দলে সক্রিয়। কারও কারও অতীতে পদ ছিল।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা ত্রাণ আত্মসাতের বিষয়ে কড়া বক্তব্য দিলেও আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেননি। অন্যদিকে ত্রাণ আত্মসাৎ ও অনিয়মে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন বিএনপির সাবেক নেতা, সমর্থক ও কর্মী। বর্তমানে তাঁদের কারোই দলীয় পদ নেই। বরখাস্ত হওয়া ৫০ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ কিংবা ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে অনিয়মে জড়িত থাকার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

দুজন চেয়ারম্যান দুর্যোগে নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন না করায় বরখাস্ত হয়েছেন। একজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য করোনার মধ্যে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করে বরখাস্ত হন।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধিদের ১৬ জন ইউপির চেয়ারম্যান। একজন পৌরসভার কাউন্সিলর, একজন জেলা পরিষদের সদস্য। অন্য ব্যক্তিরা ইউপির সাধারণ সদস্য, আছেন সংরক্ষিত নারী সদস্যও।

এর বাইরে সারা দেশে ১০ টাকা কেজি দরের ন্যায্যমূল্যের চাল আত্মসাৎ, ওজনে কম দেওয়া, বেশি দামে খোলাবাজারে বিক্রি করাসহ নানা অপরাধ ঘটেছে। গত এপ্রিলে এমন ৬০ জনের মতো ডিলার, ব্যবসায়ী বা পরিবহনকর্মীর নাম আসে। হয় তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন, নতুবা ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পেয়েছেন। তবে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনগণ খবরটা প্রশাসনকে পৌঁছে দিয়েছে। কেউ কেউ জরিমানা দিয়ে পার পেয়েছেন। কেউ কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এর মধ্যে ৫০ জনের বেশি অপরাধী আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা, কর্মী কিংবা সমর্থক।

সূত্র জানায়, সারা দেশে এমন আরও অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। কিন্তু স্থানীয় জেলা প্রশাসক যাঁদের নামে সুপারিশ করেন, তাঁদেরই শুধু বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, সরকার কাউকে ছাড় দেয়নি। খবর পাওয়ামাত্রই গ্রেপ্তার, মামলা ও শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। এ জন্যই চাল আত্মসাৎসহ অপরাধ কিছুটা কমে এসেছে। এখন মাঠপর্যায়ে অনেক বেশি সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে। দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সাধারণত স্থানীয় নেতাদের বিষয়ে জেলা-উপজেলা ব্যবস্থা নেয়। এরপর কেন্দ্র থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন একটা দুর্যোগকাল চলছে। এ জন্য হয়তো কেউ কেউ শাস্তি পাননি। তবে কেউ ছাড় পাবেন না।

প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ

শুধু প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চের পর সারা দেশে আত্মসাৎ করার সময় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬০ কেজি চাল উদ্ধার করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খাদ্য অধিদপ্তরের চালের বস্তার ওজন ৩০ কেজি। সে হিসাবে উদ্ধার হয়েছে ৭ হাজার ৯৬২ বস্তা চাল। অর্থাৎ, ২৩৯ মেট্রিক টন চাল।

তবে এর বাইরে আরও অন্তত ৪৪ মেট্রিক টন চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে, যা ধরা পড়েনি। যেমন জনপ্রতিনিধি ও ডিলারদের কেউ কেউ চাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করে দিয়েছেন। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলাতেই এক চেয়ারম্যান ১৫ টন চাল আত্মসাৎ করেন। তাঁকে অবশ্য স্থানীয় সরকার বিভাগ বরখাস্ত করেছে। সিলেটের জকিগঞ্জে প্রায় ১৮ টন চালবাহী ট্রাক আটক করে জনগণ। পরে এর থেকে কিছু লুট হয়ে যায়। অনেকের আবার আত্মসাৎ করা চালের হদিস পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ বেশি দামে চাল বিক্রি করেছেন।

প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এখন পর্যন্ত ৩২ জেলায় চাল উদ্ধার, আত্মসাৎ কিংবা ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।

কী ত্রাণ ও সহায়তা যাচ্ছে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১ মে পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর টাকা বিতরণ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৬৯ লাখ। এ ছাড়া শিশুখাদ্য সহায়ক হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

এর বাইরে খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যের চাল বিক্রির এই কার্যক্রমের আওতায় আগামী তিন মাসে পৌনে এক লাখ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করার কথা।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কার্ডের মাধ্যমে বছরব্যাপী প্রতি মাসে বিনা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পান শুধু নারী উপকারভোগীরা। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় তিন লাখের বেশি মৎস্যজীবীকে বিশেষ খাদ্যসহায়তা দিয়ে থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে সব কর্মসূচিই চালু হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান প্রথম আলোক বলেন, ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা খুব বেশি নয়। ১০ টাকা কেজির চালের বস্তা নিয়ে কিছু দুর্নীতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত তদারকির ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

দেশে প্রথম শনাক্ত হওয়া তিন করোনা রোগীর একজন ছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের। এই এলাকায় চাল আত্মসাতের ঘটনাও সবার আগে ঘটে ২৮ মার্চ। ওই দিন স্থানীয় বাঁশকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকীকে ৬৮ বস্তা চালসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার পর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরও পাঁচবার চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা হয় ২০৫ বস্তা চাল। জড়িত ব্যক্তিদের অনেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।

সরকারি চালের বস্তায় কমবেশি ৩০ কেজি করে চাল থাকে। সে হিসাবে আত্মসাৎ করা চালের পরিমাণ ৬ হাজার ১৫০ কেজি।

গত ১০ এপ্রিল ত্রাণের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কচুবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ করে অভাবী মানুষ। অথচ একই দিন জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজির ৮৮৯ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে দেওয়া হলেও আড়াই হাজারের বেশি পরিবার উপকার পেত এসব চাল দিয়ে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৫ টন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পায় স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাঁকে ২৯ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিভিন্ন রকম অপরাধ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ৬ নম্বর মানকোন ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য নাজনীন আক্তার ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। প্রমাণ পেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩০ এপ্রিল তাঁকে বরখাস্ত করে।

ভোলা জেলার মনপুরার ১ নম্বর মনপুরা ইউপির চেয়ারম্যান আমানত উল্লাহ আলমগীর ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে ৩০ এপ্রিল বরখাস্ত হন। একই অপরাধে বরখাস্ত হন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের আন্ধারমানিক ইউপির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলামও।

নাটোরের লালপুরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ চাওয়ার কারণে এক দিনমজুরকে ব্যাপক মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ তাঁকে বরখাস্ত করেছে।

ডিলার হয়ে আত্মসাৎ

করোনাকালে গাইবান্ধায় মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৯২ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) ত্রাণের চাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। তিনটি উপজেলার চার এলাকা থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় দুজন ডিলারসহ ছয়জনকে। কিন্তু এসব ঘটনায় করা মামলাগুলোর কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্ত কার্যক্রম চলছে ধীরগতিতে।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ১০ টাকা কেজি চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৩ এপ্রিল কাগাপাশা ইউনিয়নের চালের ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম খানকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিলারশিপও বাতিল করা হয়। পরে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

১ এপ্রিল সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডিলার মুজিবর সানা ৪২ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শরীয়তপুর কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম নাসির উদ্দিন ও ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল ব্যাপারী এবং শামীম ব্যাপারীকে বরখাস্ত করা হয় ৭ মে। নাসির গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাকি দুজন আওয়ামী লীগের সমর্থক। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউপি সদস্য সেলিম মোল্লা ৫ মে বরখাস্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য মজিবুর রহমান ও সংরক্ষিত সদস্য শাহিদা বেগম ৫ মে বরখাস্ত হন। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিধপুর ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বরখাস্ত হন ৫ মে। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চাল আত্মসাৎসহ অনিয়মের যেসব খবর এসেছে, ভেতরে-ভেতরে আরও বড় অনিয়ম-দুর্নীতি থাকতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কটা খবরই আর বের হতে পেরেছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন জনপ্রতিনিধিরা অনিয়ম করবেন, এমন ধারণা সবার মধ্যেই ছিল। কিন্তু করোনার মতো মহামারির মধ্যেও দুর্নীতি প্রমাণ করে, আমরা অনেক নিচে নেমে গেছি। এখন হয়তো টুকটাক বিচার হবে। মহামারি গেলে এসব জনপ্রতিনিধি ও নেতা পুনরায় ক্ষমতাসীন দলে ক্ষমতার দাপট শুরু করবেন। এই সংস্কৃতি না বদলাতে পারলে দুর্নীতি যাবে না।’

(তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা)