ভেন্টিলেটারের স্বল্পতা নিয়ে কান্নাকাটি করে লাভ নেই: জবি ভিসি

ড. মীজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
ড. মীজানুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

'প্রত্যেকে নিজকে এবং অন্যকে করোনা আক্রান্ত (উপসর্গ না থাকলেও) ভেবে নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেই নিবে। ভেন্টিলেটারের স্বল্পতা নিয়ে কান্নাকাটি করে লাভ নেই।'

সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) মীজানুর রহমান নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন।

উপাচার্য বলেন, 'ভেন্টিলেটার যাদের লাগে তাদের সংখ্যা আক্রান্তদের এক থেকে দুই শতাংশ। আর যাদের লাগে তাদের মধ্যে মাত্র এক শতাংশ রোগী ফিরে আসে।'

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, '২০০৮-৯ সাল পর্যন্ত দেশে ভেন্টিলেটার ছিলো মাত্র আটটা। এখন দুই হাজার হয়েছে। দেশের ৪৯ বছরের স্বাস্থ্য খাত রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। সর্বোৎকৃষ্ট মানের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করেও ইউরোপ আমেরিকায় হাজার হাজার স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে। প্রত্যেকে নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেকে নিতে হবে।'

তিনি বলেন, টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি তাৎপর্যহীন, যদি না করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইসোলেশন পাঠানো যায়। যতদিন টিকা নাগালে না আসবে ততদিন করোনাকে নিয়েই আমাদের থাকতে হবে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস টেস্টের সক্ষমতা দিনে ১০ হাজার করলেও মাত্র ১০ শতাংশ লোকের টেস্ট করতে কমপক্ষে ১৬০ দিন সময় লাগবে। প্রয়োজন হবে আরো কমপক্ষে ৩০০ টি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠিত করা, যা কোনদিনই সম্ভব নয়। ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা গেলেও টেকনিশিয়ান এর অভাবে ল্যাব চালানো সম্ভব হবে না। বিগত আট বছরে বাংলাদেশ কোন মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়া হয়নি।